"থাইরয়েড সমস্যা: কারণ, লক্ষণ, নির্ণয় ও প্রতিকার"

 ভূমিকা :-

থাইরয়েড রোগ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা, বিশেষত ভারতীয় জনসংখ্যার মধ্যে এর বিস্তার অত্যন্ত লক্ষণীয়। গলার সামনের অংশে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি দেহের বিপাক ক্রিয়া (Metabolism) নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হরমোনগুলো যেমন T3 (Triiodothyronine) এবং T4 (Thyroxine) মানবদেহের প্রায় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। এই হরমোনগুলো শক্তি উৎপাদন, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ, এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে অপরিহার্য।


তবে থাইরয়েড গ্রন্থির সামান্য ভারসাম্যহীনতা মানবদেহে জটিল স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। থাইরয়েড রোগকে সাধারণভাবে দুটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা হয়

1.     হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism): থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদন না করলে।

2.     হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism): থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদন করলে।

এছাড়াও গয়টার (Goiter), হাশিমোটো থাইরয়েডাইটিস (Hashimoto’s Thyroiditis), এবং থাইরয়েড ক্যান্সারও গুরুত্বপূর্ণ থাইরয়েড রোগ হিসেবে বিবেচিত।

ভারত একটি জনবহুল দেশ, যেখানে গ্রামীণ এবং শহুরে জনসংখ্যার মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য ব্যাপক। পুষ্টির ঘাটতি, আয়োডিন অভাব, সচেতনতার অভাব, এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা থাইরয়েড রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে তুলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের প্রায় ৪২ মিলিয়ন মানুষ কোনো না কোনো ধরনের থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। এটি একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যের উপর নয়, সামাজিক অর্থনৈতিক প্রভাবও ফেলছে।

থাইরয়েড গ্রন্থির গঠন অবস্থান

থাইরয়েড গ্রন্থি একটি প্রজাপতির মতো আকৃতির গ্রন্থি, যা গলার সামনের অংশে, ঠিক অ্যাডামস অ্যাপলের নিচে অবস্থিত। এতে দুটি লোব থাকেডান লোব (Right Lobe) এবং বাম লোব (Left Lobe) এই দুটি লোব একটি সরু অংশ, যাকে ইস্থমাস (Isthmus) বলা হয়, দ্বারা সংযুক্ত থাকে।

থাইরয়েড গ্রন্থির আকার ওজন বয়স, লিঙ্গ, এবং পুষ্টির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। গড়ে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের থাইরয়েড গ্রন্থির ওজন ২০-৩০ গ্রাম হয়ে থাকে।

গ্রন্থির ভেতরে অসংখ্য ছোট ছোট গঠন থাকে, যেগুলোকে ফলিকলস (Follicles) বলা হয়। প্রতিটি ফলিকল থাইরয়েড হরমোন তৈরি, সংরক্ষণ এবং নিঃসরণে ভূমিকা রাখে।


থাইরয়েড হরমোনের ভূমিকা

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে মূলত দুটি হরমোন নিঃসৃত হয়:

  • থাইরোক্সিন (T4)
  • ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন (T3)

এছাড়া ক্যালসিটোনিন (Calcitonin) নামের একটি হরমোনও থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়, যা দেহের ক্যালসিয়াম স্তর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ।

হরমোন

প্রধান কাজ

T3 (Triiodothyronine)

দেহের বিপাক ক্রিয়া ত্বরান্বিত করা

T4 (Thyroxine)

শক্তি উৎপাদন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ

Calcitonin

হাড়ে ক্যালসিয়াম জমা নিয়ন্ত্রণ

T3 এবং T4-এর প্রধান কাজগুলো হলো:

1.     কোষে শক্তি উৎপাদন বৃদ্ধি করা।

2.     হৃদস্পন্দনের হার নিয়ন্ত্রণে রাখা।

3.     দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।

4.     হাড়ের বৃদ্ধি বিকাশে ভূমিকা রাখা।

5.     শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করা।

6.     বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ানো।

থাইরয়েড হরমোনের নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোন নিঃসরণ একটি জটিল হরমোনাল ফিডব্যাক সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এর প্রধান নিয়ন্ত্রক দুটি অঙ্গ:

1.     হাইপোথ্যালামাস (Hypothalamus)

2.     পিটুইটারি গ্রন্থি (Pituitary Gland)

প্রক্রিয়াটি হলো:

  • হাইপোথ্যালামাস থেকে TRH (Thyrotropin Releasing Hormone) নিঃসৃত হয়।
  • TRH পিটুইটারিকে উদ্দীপিত করে TSH (Thyroid Stimulating Hormone) উৎপাদন করতে।
  • TSH থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে T3 T4 নিঃসরণ করাতে।
  • যখন রক্তে T3 T4 এর মাত্রা বেড়ে যায়, তখন হাইপোথ্যালামাস পিটুইটারি থেকে হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। এটিকে নেগেটিভ ফিডব্যাক (Negative Feedback) বলা হয়।

ভারতের প্রেক্ষাপটে থাইরয়েড রোগের গুরুত্ব

ভারতে থাইরয়েড রোগের হার ক্রমশ বাড়ছে এবং এটি এখন একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। কারণগুলো হলো:

  1.   জনসংখ্যার বিশালতা :-ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দেশ। এত বড় জনসংখ্যার মধ্যে সামান্য শতাংশও যদি থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয়, তবে রোগীর সংখ্যা লক্ষাধিক হয়ে যায়।
  2.   আয়োডিনের ঘাটতি :-আয়োডিন থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য অপরিহার্য। ভারতের বহু গ্রামীণ অঞ্চলে আয়োডিনের অভাব রয়েছে, যার ফলে গয়টার এবং হাইপোথাইরয়েডিজমের হার বেশি।
  3. সচেতনতার অভাব :- অনেক মানুষ থাইরয়েড রোগের উপসর্গকে সাধারণ ক্লান্তি বা বয়সজনিত সমস্যা বলে মনে করেন। ফলে রোগের নির্ণয় দেরিতে হয় এবং চিকিৎসা জটিল হয়ে ওঠে।
  4. স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা :- গ্রামীণ এলাকায় উন্নত মানের থাইরয়েড পরীক্ষা বা চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। এর ফলে অনেক রোগী সঠিকভাবে চিকিৎসা পান না
  5. গর্ভকালীন থাইরয়েড সমস্যা :- গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড রোগ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হলে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ভারতে বিষয়ে সচেতনতা এবং পরীক্ষার হার এখনও অনেক কম।

 থাইরয়েড রোগের ধরন (Types of Thyroid Disorders)

থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটলে দেহে নানা জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েড রোগ সাধারণত কয়েকটি প্রধান শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো:

1.     হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)

2.     হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism)

3.     গয়টার (Goiter) আয়োডিন অভাবজনিত সমস্যা

4.     হাশিমোটো' থাইরয়েডাইটিস (Hashimoto’s Thyroiditis)

5.     থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer)

1.   হাইপোথাইরয়েডিজম (Hypothyroidism)

হাইপোথাইরয়েডিজম হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন (T3 T4) উৎপাদন করতে পারে না।
এটি ভারতের সবচেয়ে সাধারণ থাইরয়েড রোগ এবং বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এর প্রাদুর্ভাব বেশি।

কারণ

হাইপোথাইরয়েডিজমের সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:

  • আয়োডিনের অভাব: থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে আয়োডিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়োডিনের অভাবে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়।
  • অটোইমিউন রোগ: যেমন হাশিমোটো' থাইরয়েডাইটিস
  • থাইরয়েড সার্জারি বা রেডিওঅ্যাক্টিভ আয়োডিন থেরাপি: থাইরয়েড গ্রন্থির একটি অংশ বা সম্পূর্ণ অংশ সরিয়ে ফেললে।
  • ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: যেমন লিথিয়াম বা অ্যামিওড্যারোন।
  • জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজম: নবজাতকের জন্মের সময় থেকেই থাইরয়েড গ্রন্থির ঘাটতি থাকা।

উপসর্গ

হাইপোথাইরয়েডিজমের উপসর্গ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় এবং প্রায়ই সাধারণ ক্লান্তি বা বয়সজনিত সমস্যা হিসেবে ভুল ধরা হয়।

প্রধান উপসর্গ

বর্ণনা

অতিরিক্ত ক্লান্তি

সামান্য কাজেই অত্যন্ত ক্লান্তি অনুভব করা

ওজন বৃদ্ধি

খাবার কম খাওয়া সত্ত্বেও ওজন বেড়ে যাওয়া

ঠান্ডায় সংবেদনশীলতা

ঠান্ডা আবহাওয়ায় অতিরিক্ত অস্বস্তি

শুষ্ক ত্বক

ত্বক ফাটল ধরা শুষ্ক হয়ে যাওয়া

চুল পড়া

মাথার চুল, ভ্রু চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া

বিষণ্ণতা

মুড সুইং এবং ডিপ্রেশন

কোষ্ঠকাঠিন্য

হজমে সমস্যা অনিয়মিত মলত্যাগ

স্মৃতিশক্তি দুর্বলতা

মনোযোগের অভাব ভুলে যাওয়া

নির্ণয় পদ্ধতি

হাইপোথাইরয়েডিজম নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলো করা হয়:

1.     TSH পরীক্ষা: রক্তে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনের মাত্রা নির্ণয়।

2.     FT4 পরীক্ষা: রক্তে ফ্রি থাইরোক্সিনের পরিমাণ মাপা।

3.     অ্যান্টিবডি পরীক্ষা: অটোইমিউন রোগ শনাক্ত করার জন্য।

4.     আলট্রাসনোগ্রাফি: থাইরয়েডের আকার গঠন দেখতে।

প্রতিরোধের উপায়

  • আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার।
  • নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা।
  • গর্ভাবস্থার সময় থাইরয়েড পরীক্ষা।
  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।

2.হাইপারথাইরয়েডিজম (Hyperthyroidism)

হাইপারথাইরয়েডিজম হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি অতিরিক্ত হরমোন উৎপাদন করে।
এতে শরীরের বিপাক ক্রিয়া অস্বাভাবিকভাবে দ্রুত হয়ে যায়।

কারণ

হাইপারথাইরয়েডিজমের প্রধান কারণগুলো হলো:

1.     গ্রেভস ডিজিজ (Graves’ Disease):

o    এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাইরয়েডকে উদ্দীপিত করে অতিরিক্ত হরমোন তৈরি করে।

2.     থাইরয়েড নডিউল (Thyroid Nodules):

o    থাইরয়েড গ্রন্থির একটি বা একাধিক অংশ অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়।

3.     থাইরয়েডাইটিস (Thyroiditis):

o    সংক্রমণ বা প্রদাহের কারণে হরমোন অতিরিক্ত নিঃসৃত হয়।

4.     অতিরিক্ত আয়োডিন গ্রহণ:

o    বেশি পরিমাণ আয়োডিন হাইপারথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বাড়ায়।

উপসর্গ

হাইপারথাইরয়েডিজমের উপসর্গগুলো দ্রুত দেখা দেয় এবং সহজেই চিহ্নিত করা যায়।

প্রধান উপসর্গ

 

বর্ণনা

দ্রুত হৃদস্পন্দন

 

হার্টবিট অস্বাভাবিক দ্রুত হওয়া

 

অতিরিক্ত ওজন হ্রাস

 

ক্ষুধা বৃদ্ধি পেলেও ওজন কমে যাওয়া

 

হাত কাঁপা

 

হাত বা আঙুলে কম্পন

 

অতিরিক্ত ঘাম

 

গরম অনুভূতি এবং ঘামের মাত্রা বেশি

 

অতিরিক্ত রাগ বিরক্তি

 

মুড সুইং এবং নার্ভাসনেস

 

চোখ ফুলে যাওয়া

 

গ্রেভস ডিজিজে সাধারণ উপসর্গ

 

অনিদ্রা

 

ঘুমাতে সমস্যা হওয়া

 

মাসিক অনিয়মিত

 

নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষণ

 

1.     গয়টার (Goiter) আয়োডিন অভাব

গয়টার হলো থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক স্ফীতি বা ফোলাভাব।
ভারতে গয়টারের প্রধান কারণ হলো আয়োডিনের অভাব

কারণ

  • আয়োডিনের অভাব।
  • থাইরয়েড নডিউল।
  • গ্রেভস ডিজিজ।
  • থাইরয়েডাইটিস।

উপসর্গ

  • গলার সামনের অংশে ফোলাভাব।
  • গিলতে অসুবিধা।
  • শ্বাসকষ্ট।
  • কাশি।

2.     হাশিমোটো' থাইরয়েডাইটিস

এটি একটি অটোইমিউন রোগ, যেখানে দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাইরয়েড কোষকে আক্রমণ করে।
ফলে গ্রন্থি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যায় এবং হাইপোথাইরয়েডিজম দেখা দেয়।

উপসর্গ

  • অতিরিক্ত ক্লান্তি।
  • ওজন বৃদ্ধি।
  • ঠান্ডা অনুভূতি।
  • গলা ফোলা।
  • বিষণ্ণতা। 

3.     থাইরয়েড ক্যান্সার (Thyroid Cancer)

থাইরয়েড ক্যান্সার হলো থাইরয়েড গ্রন্থির কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি।
ভারতে এর হার ধীরে ধীরে বাড়ছে।

প্রধান ধরন

ধরন

বৈশিষ্ট্য

Papillary Carcinoma

সবচেয়ে সাধারণ, ধীরে বৃদ্ধি পায়

Follicular Carcinoma

তুলনামূলক দ্রুত বৃদ্ধি

Medullary Carcinoma

বংশগত কারণে হতে পারে

Anaplastic Carcinoma

খুব আক্রমণাত্মক এবং মারাত্মক

উপসর্গ

  • গলায় গুটি বা ফোলাভাব।
  • গিলতে কষ্ট।
  • কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন।
  • গলায় ব্যথা।
  • শ্বাসকষ্ট।

উপসংহার

ভারতের জনসংখ্যায় থাইরয়েড রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বাড়তে থাকা জনস্বাস্থ্য সমস্যা। উপসর্গ সহজে দেখা যায়, কিন্তু সচেতনতা পরীক্ষার অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই রোগ দেরিতে নির্ধারিত হয়, ফলে রোগীর জীবনমান ভালোমতো বজায় রাখা কঠিন হয়। গবেষণা, জনস্বাস্থ্য নীতি গ্রামীণশহুরে স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই উদ্যোগ বাড়াতে হবে। আয়োডিন সাপ্লিমেন্টেশন, নির্ধারিত পরীক্ষার রেফারেন্স রেঞ্জ, এবং চিকিৎসায় দ্রুত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করলে ভীষণ ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।

Post a Comment

0 Comments