"সানস্ক্রিন কি সত্যিই নিরাপদ? এটি ক্যান্সারের কারণ হতে পারে?"
সানস্ক্রিন আমাদের ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক UV রশ্মি থেকে রক্ষা করে, যা ত্বকের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। তবে, কিছু সানস্ক্রিনে থাকা রাসায়নিক উপাদান নিয়ে গবেষণা চলছে। কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে যে এই উপাদানগুলো সম্ভাব্যভাবে ক্ষতিকর হতে পারে যদি দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত ব্যবহার করা হয়।তবে এটা মনে রাখা জরুরি যে, চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেন, কারণ এটি ত্বকের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই ভালো মানের এবং আপনার ত্বকের জন্য সঠিক সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার যদি কোনো সংশয় থাকে, তবে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
ক্যান্সারের সাথে সানস্ক্রিনের সম্পর্ক:
১. রাসায়নিক উপাদান: কিছু সানস্ক্রিনে অক্সিবেনজোন, অকটিনক্সেট এবং অন্যান্য রাসায়নিক থাকে। কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এগুলো দীর্ঘমেয়াদে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে বা শরীরে শোষিত হয়ে সমস্যার কারণ হতে পারে।
২. ন্যানো পার্টিকল: মিনারেল সানস্ক্রিনে (যেমন জিঙ্ক অক্সাইড ও টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড) ন্যানো পার্টিকলের ব্যবহার হয়। এগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন।
৩. UV রশ্মি বনাম সানস্ক্রিন: যদি সানস্ক্রিন সঠিকভাবে ব্যবহার করা না হয় বা SPF খুব কম হয়, তবে ত্বক UV রশ্মি থেকে সুরক্ষা পায় না। UV রশ্মিই ত্বকের ক্যান্সারের প্রধান কারণ।
কীভাবে নিরাপদ থাকবেন?
ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: এটি UVA এবং UVB রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
উচ্চ SPF বেছে নিন: অন্তত SPF ৩০ বা তার বেশি ব্যবহার করুন।
মিনারেল সানস্ক্রিন পছন্দ করুন: রাসায়নিকের পরিবর্তে এটি নিরাপদ বিকল্প হতে পারে।
পুনরায় প্রয়োগ করুন: প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিন পুনরায় লাগান।
গবেষণা করে প্রডাক্ট বেছে নিন: এমন ব্র্যান্ড ব্যবহার করুন যারা নিরাপদ এবং পরীক্ষিত উপাদান ব্যবহার করে।
সতর্কবার্তা:
কিছু তথ্য বিভ্রান্তিকর হতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো নিয়ে সবসময় আপডেট থাকুন এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।
সুতরাং, সানস্ক্রিনের সঠিক ব্যবহার এবং সঠিক পণ্য নির্বাচন করলে এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়, বাড়ায় না।

0 Comments